বিবাহ রেজিস্ট্রেশন
রফিক ও শাহানা মুসলিম ধর্মমতে বিয়ে করে। তাঁদের ৫ বছরের একটি মেয়ে আছে। বিয়ের ৪ বছর পর শাহানার সম্মতি না নিয়েই রফিক আরেকটি বিয়ে করে এবং সে শাহানাকে দেনমোহর, ভরণ-পোষণ কিছুই দেয় না। যেহেতু তাঁদের বিয়েটা রেজিস্ট্রি করা হয় নি তাই শাহানা মামলা করার কথা বললে রফিক বিয়েটা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। শাহানা বাবার বাড়িতে ফিরে আসে। তবে শাহানা ও রফিকের বিয়ের কাজী শাহানাদের পারিবারিকভাবে পরিচিত ছিল। এছাড়া তাদের আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা তাদের বিয়ে সম্পর্কে জানতেন। বিয়ে প্রমাণ করার জন্য শাহানা তার বাবার সাথে একজন উকিলের কাছে যায় পরামর্শের জন্য।
উকিল : আপনার বিয়ে কি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল ? শাহানা : ‘বিবাহ রেজিস্ট্রেশন কি?’ এটাইতো বুঝি না। এমন কিছু হয়েছে বলে মনে পড়ে না। উকিল : রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে তালিকাভূক্তি। আইনের দ্বারা নির্ধারিত তথ্যাবলী দিয়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে সরকারিভাবে বিবাহ তালিকাভূক্তি করাই হচ্ছে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন। ব্যাখ্যা: ১ শাহানা : মুসলিম আইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে কি বলা হয়েছে ? |
উকিল : আপনার বিয়ে কি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল ? ছবির স্বত্ব বারসিক
শাহানা : ‘বিবাহ রেজিস্ট্রেশন কি?’ এটাইতো বুঝি না। এমন কিছু হয়েছে বলে মনে পড়ে না।
উকিল : রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে তালিকাভূক্তি। আইনের দ্বারা নির্ধারিত তথ্যাবলী দিয়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে সরকারিভাবে বিবাহ তালিকাভূক্তি করাই হচ্ছে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন। ব্যাখ্যা: ১
শাহানা : মুসলিম আইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে কি বলা হয়েছে ?
উকিল : মুসলিম পারিবারিক আইনে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া বিয়ে প্রমাণ করা কঠিন। রেজিস্ট্রেশন করা না থাকলে মেয়েরা প্রতারিত হতে পারে। সকল বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা আবশ্যক। দেনমোহর, ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের পিতৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকৃত কাবিননামা একটি আইনগত দলিল। বিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস